তরীক শিবলী, নিজস্ব প্রতিবেদক
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে গণতান্ত্রিক মহিলাদলের আহবায়ক কমিটি গঠন । তখন অবরোধ চলছিল, দেশের মানুষ আতংকিত, সারাদেশে চলছিল প্রেট্রোল বোমার তান্ডব, দেশটা কারাগারে রুপান্তরিত হয়েছিল। গণতান্ত্রিক মহিলা দলের এই আহবায়ক কমিটি কয়েক মাস বিভন্ন জেলা কমিটি গুছিয়ে ২০১৪ সালের ২৩ মে বনার্ঢ্য আয়োজনে সহস্রাধিক ডেলিগেট নিয়ে ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে গণতান্ত্রিক মহিলাদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলের প্রধান অতিথির ভাষণে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি -এলডিপির প্রেসিডেন্ট ডক্টর কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেন “বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন রাজনৈতিক দলের মহিলা সংগঠনের এত বড় কাউন্সিল, কোন রাজনৈতিক দল করতে পারে নাই এটাই ছিল বৃহৎ কাউন্সিল।”
বিভিন্ন জেলার ডেলিগেটদের নিয়ে কন্ঠ ভোটের মাধ্যমে অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন সভাপতি নির্বাচিত হন। উক্ত কাউন্সিলে একশ এক সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে দুর্বার গতিতে দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে রাজপথে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ন্যায় বিচার,নারী অধিকার বাস্তবায়ন জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সকল আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো। গণতান্ত্রিক মহিলা দলের নেতাকর্মীদের দৃঢ় মনোবল রাজপথের আন্দোলনকে আরো গতিশীল করেছে। সংগঠনটির সভাপতি এবং মহিলা নেত্রীদের বলিষ্ঠ বক্তব্য, স্লোগান, মিছিল, হরতাল, অবরোধ, অনশন, পদযাত্রা, বিক্ষোভ সমাবেশসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচিতে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। মামলা হামলা উপেক্ষা করে রাজপথে সাহসী ভূমিকা রেখে চলেছে সংগঠটি।
সংগঠনটির দেশপ্রেমের কারণে দেশের জনগণের অধিকারের জন্য, ভোটাধিকারের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে গণতান্ত্রিক মহিলা দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রশংসার দাবি রাখে।