এম জসিনুর রহমান, নীলফামারী
নীলফামারীর জলঢাকায় আজ ২১ মে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।এবারে দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। শেষ মুহূর্তে নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মাঝে বিপুল আগ্রহ ও তুমুল উত্তেজনা লক্ষ করা গেছে। চায়ের দোকান-আড্ডাখানায় চলছে ভোট বিচার-বিশ্লেষণ। তাদের প্রত্যেকের ধারণা এ নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমুখী। উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জলঢাকা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকে উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি আনছার আলী মিন্টু, চিংড়ি মাছ প্রতীকে সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর, মোটর সাইকেল প্রতীকে সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আজম এলিচ ও আনারস প্রতীকে উপজেলা আ’লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ শামীম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া, মোটরসাইকেল ও চিংড়ি মাছ প্রতীক এর ত্রিমুখী লড়াই হবে সর্বমহলে এমনটাই ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মানোয়ারা বেগম, কলস প্রতীকে অনিতা রানী রায়, হাসঁ প্রতীকে মাসুমা কিবরিয়া সীমা ও প্রজাপতি প্রতীকে রাহেনা বেগম এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীকে শাহিনুর রহমান, চশমা প্রতীকে মানোয়ার হোসেন লিটন ও তালা প্রতীকে নুর আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া রাজনৈতিক সাংগঠনিক গুরুত্ব ও আত্মীয়করণের মাধ্যমে ভোট ভাগাভাগির নিয়েও রয়েছে সমীকরণ। ভোটাররা বলছেন, কোনো প্রার্থীর একতরফা ভোট পাওয়ার তেমন কোনো সুযোগ নেই। ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা মিলে মোট ১০৫টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ, ৭৬ হাজার, ১’শত ১৪জন রয়েছে।
জলঢাকা থানা অফিসার নজরুল ইসলাম বলছেন সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।