ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিসিআরপি) ‘দুবাই আনলকড’ প্রকল্পের মাধ্যমে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অনুসন্ধানী এই প্রকল্পে দেখা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের অবৈধ অর্থের আশ্রয়স্থল দুবাইয়ে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের বিপুল পরিমাণ গোপন সম্পদ রয়েছে।
বিশ্বের ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম নিয়োজিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে জানা গেছে, দুবাইয়ে গোপনে সম্পদ গড়ে তুলেছেন অন্তত ৩৯৪ জন বাংলাদেশি। শহরটিতে এই বাংলাদেশিদের মালিকানায় রয়েছে ৬৪১টি সম্পত্তি যার মূল্য ২২ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল নাগাদ দুবাইয়ে বিদেশিদের মালিকানায় থাকা সম্পদের পরিমাণ ১৬০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। দুবাইয়ে বিদেশিদের সম্পদের মালিকানার তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ভারতীয়রা। ২৯ হাজার ৭০০ ভারতীয় নাগরিকের ৩৫ হাজার সম্পত্তি রয়েছে দুবাইয়ে যার মোট মূল্য ১৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ভারতের পরে এই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানির হাতে ২৩ হাজার সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে।
গোপন সম্পদের তথ্য ফাঁস হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের বেশকিছু শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি সর্বত্র আলোচিত হচ্ছেন। পাকিস্তানের বর্তমান ও সাবেক শীর্ষ নেতাদের নাম এসেছে এই তালিকায়। ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি থেকে শুরু করে বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানেরও নাম রয়েছে দুবাইয়ে সম্পদের তালিকায়।
তবে বাংলাদেশিদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করায় তাদের পরিচয় এখনও অজ্ঞাত রয়েছে। গণমাধ্যমে এসব তথ্য ফাঁস হওয়ার পর দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর ওপর বিশ্বব্যাপী চাপ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থপাচার ও দুর্নীতি রোধে এই ধরনের তথ্য প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।