মো: সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধ
দক্ষিণাঞ্চলকে রেলপথে যুক্ত করছে ২০২৮ । ঢাকা-কুয়াকাটা রুটে ১২টি রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ হচ্ছে। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটছে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর জন্য। পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঢাকা থেকে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৮ সালের মধ্যে এই রুটের উপর দীর্ঘ ২১১ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও বরগুনা অঞ্চলের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত এই রেললাইনে মোট ১২টি রেলওয়ে স্টেশন নির্মিত হবে। এর মধ্যে বরিশাল জেলাতেই থাকবে তিনটি স্টেশন। একটি বরিশাল নগরীতে, অন্যটি বরিশাল এয়ারপোর্ট এলাকায় এবং শেষটি বাকেরগঞ্জ উপজেলায়।
অপরদিকে, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকায় অবস্থিত হবে আরেকটি স্টেশন। এছাড়াও রাজধানী ঢাকা থেকে ঝালকাঠিবাসীরা রেলপথে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর এবং কুয়াকাটা পর্যটন শহরে যাতায়াত করতে পারবেন। ১২টি প্রধান স্টেশনের বাইরেও কিছু সাব-স্টেশন থাকবে বলে জানা গেছে।
ঢাকা-বরিশাল-পায়রা রেলপথ নির্মাণের জন্য প্রয়োজন হবে প্রায় ৫ হাজার ৬৩৮ একর জমি অধিগ্রহণ করার। সামগ্রিক ব্যয় প্রাক্কলিত হয়েছে ৪১ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। জানা গেছে, ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কিছু জটিলতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হতে পারে।
অনেক আকাঙ্ক্ষা ও অপেক্ষার পরে সুদীর্ঘ এই রেললাইন নির্মাণ শেষ হলে দক্ষিণাঞ্চলের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাতায়াত হবে অনেক সহজতর ও কম খরচে। এতে পর্যটন খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের চলাচলও সহজ হবে।
আশা করা যাচ্ছে, সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কার্যকরী বাস্তবায়নে দক্ষিণবঙ্গের চিরাচরিত গতিশীলতা অজস্র বেড়ে যাবে।